Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ভাষা ও সাহিত্য

ভাষা সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন এর পরিচয়

বাংলা গদ্যের ভাষা সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন এর জন্মঃ- মীর মশাররফ হোসেন ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানার লাহিনীপাড়া গ্রামে সম্ভ্রান্ত সৈদয় পরিবারে তাঁর জন্ম। ‘মীর’ উপাধি প্রাপ্ত হয়েছিলেন তাঁর পূবর্পুরুষ থেকে।

পিতাঃ- মীর মোয়াজ্জম হোসেন, পিতামহঃ- মীর এবরাহিম হোসেন 

মাতাঃ- দৌলতন নেসা, মাতামহঃ- মুন্সী জিনাতুল্লা।

পৈতৃক নিবাসঃ- মীর সাহেবের পৈতৃক নিবাস ছিল ফরিদপুর জেলার পদমদীর নিকটবতী সেকাড়া গ্রামে।

১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলাধীন লাহিনীপাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন।

পিতার নাম : মীর মোয়াজ্জেম হোসেন, পিতামহঃ- মীর এবরাহিম হোসেন 

মাতার নাম : দৌলতন নেছা, মাতামহঃ- মুন্সী জিনাতুল্লা।

মীর মশাররফ হোসেন এর পৈতৃক নিবাস ছিল ফরিদপুর জেলার পদমদীর নিকটবর্তী সেকাড়া গ্রামে ।

জমিদারীঃ- “মীর মোয়াজ্জম হোসেন ছিলেন লাহিনীপাড়ার নিকটবতী সাঁওতা গ্রামের জমিদার তার পিতা মীর এবরাহিম হোসেন সাঁওতার তৎকালীন জমিদার আনার খাতুনের কাছ থেকে জমিদারী লাভ করেন”।

সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেনঃ- প্রথম বাঙ্গালী মুসলিম উপন্যাসিক ও নাট্যকার এবং জীবন চরিত রচয়িতা করেছেন। ১৮৭৫ খ্রীঃ প্রহসনখানিক বাংলা সাহিত্যে মুসলমান কর্তৃক সম্পূণ গদ্যে রচিত প্রথম গ্রহসন।মুসলমানদের মধ্যে বাংলা ভাষার প্রথম সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনার গৌরবও তাঁরই প্রাপ্য। মীর মশাররফ হোসেন সম্পাদিত প্রথম পত্রিকা “আজিজন নেহার”। পরবতী কালে ১৮৯০ খ্রীঃ “হিতকরী” নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেন।

বিবাহ

মাত্র আঠার বছরে বয়সে তারঁ পিতৃবন্ধুর কন্যা আজিজুন্নেসার সাথে বিয়ে হয়।

মৃত্যু

১৯১২ সালে দেলদুয়ার এস্টেটে ম্যানেজার থাকাকালেই মীর মশাররফ হোসেন পরলোকগমন করেন। তাকে পদমদীতে দাফন করা হয়।

মীর মশাররফ হোসের এর রচিত গ্রন্থঃ-

এই অনন্য প্রতিবান গদ্য শিল্পীর গ্রন্থসংখ্যা সবশেষ তথ্য অনুযায়ী চল্লিশ।অজ্ঞাত রচনা থাকতে পারে, যা এখনো আলোচিত হয়নি। গ্রন্থের তালিকাঃ-

নাম

শ্রেণী

সময়

জমীদার দপর্ন

নাটক

১৮৭৩ খ্রীষ্টাব্দ

বিষাদ সিন্ধু

উপন্যাস

১৮৮৫-৯১ খ্রীষ্টাব্দ

বিবি খোদেজার বিবাহ

কাব্যগ্রন্থ

১৯০৫ খ্রীষ্টাব্দ

হজরত ওমরের ধর্ম জীবন লাভ

কাব্যগ্রন্থ

১৯০৫ খ্রীষ্টাব্দ

গাজী মিয়ার গুলি

রসরচনা

১৯০৫ খ্রীষ্টাব্দ

হজরত আমীর হামজার ধর্ম জীবন লাভ

কাব্যগ্রন্থ

১৯০৫ খ্রীষ্টাব্দ

হজরত বেলালের জীবনী

কাব্যগ্রন্থ

১৯০৫ খ্রীষ্টাব্দ

মুসলমানের বাঙ্গালা শিক্ষা ১ম ভাগের ১ম অংশ

পাঠ্য পুস্তক

১৯০৬ খ্রীষ্টাব্দ

মদিনার গৌরব

কাব্যগ্রন্থ

১৯০৬ খ্রীষ্টাব্দ

মোসলেম বীরত্ব

কাব্যগ্রন্থ

১৯০৭ খ্রীষ্টাব্দ

মুসলমানের বাঙ্গালা শিক্ষা ২য় ভাগ

পাঠ্য পুস্তক

১৯০৮ খ্রীষ্টাব্দ

এসলামের জয়

প্রবন্ধোপন্যাস

১৯০৮ খ্রীষ্টাব্দ

হজরত ইউসোফ

গল্পগ্রন্থ

১৯০৮ খ্রীষ্টাব্দ

আমার জীবনী

আত্মজীবনী

১৯০৮-১৯১০ খ্রীষ্টাব্দ

ঈদের খোতবা

গদ্যরচনা

১৯০৯ খ্রীষ্টাব্দ

বিবি কুলসুম বা আমার জীবনী কুলসুম জীবনী

জীবনীমূলক রচনা

১৯১০ খ্রীষ্টাব্দ

বৃহৎ হীরক খনি

শিশুপাঠ্য গ্রন্থ

১৯১১ খ্রীষ্টাব্দ

রত্নবতী

রুপকথা

১৮৬৯ খ্রীষ্টাব্দ

গোরাই ব্রীজ বা গৌরী সেতু

কাব্যগ্রন্থ

১৮৭৩ খ্রীষ্টাব্দ

বসন্ত কুমারী

নাটক

১৮৭৩ খ্রীষ্টাব্দ

এর উপায় কি

প্রহসন

১৮৭৬ খ্রীষ্টাব্দ

সঙ্গীত লহরী প্রথম খন্ড

গীতিকবিতার সংকরন

১৮৮৭ খ্রীষ্টাব্দ

গো-জবীন

প্রবন্ধ

১৮৮৯ খ্রীষ্টাব্দ

বেহুলা গীতাভিনয়

যাত্রা নাটক

১৮৮৯ খ্রীষ্টাব্দ

উদাসীন পথিকের মনের কথা

আত্নজৈবনিক উপন্যাস

১৮৯০ খ্রীষ্টাব্দ

তহমিনা

উপন্যাস

১৮৯৭ খ্রীষ্টাব্দ

টালা অভিয়ন

প্রসহন

১৮৯৭ খ্রীষ্টাব্দ

নিয়তি কি অবনতি

উপন্যাস

১৮৯৮-১৮৯৯খ্রীষ্টাব্দ

পঞ্চনারী পদ্য

কাব্য গ্রস্থ

১৮৯৯ খ্রীষ্টাব্দ

বাজীমাৎ

নকসা জাতীয় কাব্য

১৯০৮ খ্রীষ্টাব্দ

গাজী মিয়ার বস্তানী

নক্সা

১৮৯৯ খ্রীষ্টাব্দ

ফাঁস কাগজ

প্রহসন

১৮৯৯ খ্রীষ্টাব্দ

বাঁধাখাতা

প্রহসন

১৮৯৯ খ্রীষ্টাব্দ

ভাই ভাই এই তো চাই

প্রসহন

১৮৯৯ খ্রীষ্টাব্দ

একি

প্রহসন

১৮৯৯ খ্রীষ্টাব্দ

প্রেম পরিজাত

গদ্য রচনা

১৮৯৯ খ্রীষ্টাব্দ

রাজিয়া খাতুন

উপন্যাস

১৮৯৯ খ্রীষ্টাব্দ

মৌলুদ শরীফ

ধমোর্পদেশ মূলক গদ্যে পদ্যে রচিত গ্রন্থ

১৯০০ খ্রীষ্টাব্দ

উপদেশ

কাব্যগ্রন্থ

 

 
কিভাবে যাওয়া যায়: 
কুষ্টিয়া হতে গড়াই ব্রীজ না পতে লাহিনীপাড়া মোড় থেকে ডানে মোড়নিয়ে প্রায় ১ কিঃমিঃ গেলে লাহিনীপাড়া গ্রামে মীর মশাররফ হোসেন এর বাস্তভীটা। ও কুমারখালী হতে কুষ্টিয়া যাওয়ার পথে গড়াই ব্রীজ পার হয়ে লাহিনীপাড়া মোড় থেকে বামে মোড়নিয়ে প্রায় ১ কিঃমিঃ গেলে লাহিনীপাড়া গ্রামে মীর মশাররফ হোসেন এর বাস্তভীটা।
চৌরহাস মোড় ও কুষ্টিয়া কেন্দ্র বাস টার্মিনাল  হতে প্রায় ৬ কিঃ মিঃ দূরে লাহিনীপাড়া মোড় থেকে ডানে মোড়নিয়ে প্রায় ১ কিঃমিঃ গেলে লাহিনীপাড়া গ্রামে মীর মশাররফ হোসেন এর বাস্তভীটা।